আইসোটোপঃ 

যেসব মৌলের পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা একই, কিন্তু এদের ভরসংখ্যা ভিন্ন হলে তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে। 

অথবা একই মৌলের বিভিন্ন ভরযুক্ত পরমাণু সমূহকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে। 

যেমন – কার্বনের আইসোটোপ C-12, C- 13, C- 14. আবার O- 16, O- 17, O – 18   

আবার, হাইড্রোজেনের সাতটি আইসোটোপ আছে। এর মধ্যে H – 1, H -2, H – 3 প্রকৃতিতে এবং H -4, H -5, H -6, H – 7 তেজস্কিয় আইসোটোপ।

আবার Ne – 20, Ne – 21, Ne – 22 পরস্পরের আইসোটোপ।

আইসোবারঃ 

যেসব মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন, কিন্তু ভর সংখ্যা একই তাদেরকে পরস্পরের আইসোবার বলে।      

যেমন – Cu এর পারমানবিক সংখ্যা 29 ও Zn এর পারমানবিক সংখ্যা 30 কিন্তু উভয়ের ভরসংখ্যা  65।  

কাজেই Cu ও Zn পরস্পরের আইসোবার। 

আবার, 

Ar- এর পারমানবিক সংখ্যা -18, 

K এর পারমানবিক সংখ্যা -19,       Ca এর পারমানবিক সংখ্যা – 20. 

কিন্তু এদের ভরসংখ্যা -40 একই হওয়ায় Ar, K, Ca পরস্পরের আইসোবার।

আইসোটোনঃ 

যেসব মৌলের প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা এবং ভরসংখ্যা ভিন্ন, কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা একই তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোন বলে। 

যেমন- 

Si- এর পারমাণবিক সংখ্যা – 14, ভরসংখ্যা – 30 এবং নিউট্রন সংখ্যা – 16. 

আবার, 

P- এর পারমাণবিক সংখ্যা – 15, ভরসংখ্যা – 31 এবং নিউট্রন সংখ্যা – 16. 

এখানে Si ও P এর নিউট্রন সংখ্যা সমান । 

অতএব Si ও P পরস্পরের আইসোটোন। 

C, N, O পরস্পরের আইসোটোন। এদের নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে      

C = (14 – 6) = 8, 

N = (15 – 7) = 8,                  

O = (16 – 8) = 8.