1803 খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ বিজ্ঞানী জন ডাল্টন পদার্থের গঠন সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ধারণা প্রদান করেন। যা ডাল্টনের পরমাণুবাদ নামে পরিচিত।

ডাল্টনের পরমাণুবাদের একটি স্বীকার্যে বলা হয়েছে যে- 

একই পদার্থের সকল পরমাণুর ধর্ম ও ভর অভিন্ন। 

কিন্তু পরবর্তীতে একই মৌলের বিভিন্ন ভরযুক্ত পরমাণু আবিষ্কৃত হয়েছে। এদেরকে আইসোটোপ বলা হয়।যেমন- অক্সিজেনের তিনটি আইসোটোপ হচ্ছে- ¹⁶O ; ¹⁷O ; ¹⁸O

আবার, কার্বনের তিনটি আইসোটোপ- ¹²C ; ¹³C ; ¹⁴C  বিদ্যমান। 

কাজেই বলা যায়, আইসোটোপের ক্ষেত্রে ডাল্টনের পরমাণুবাদ অকার্যকর। 

আবার, ডাল্টনের পরমাণুবাদের আরেকটি স্বীকার্য হচ্ছে- বিভিন্ন মৌলের ধর্ম ও বিভিন্ন। 

কিন্তু দেখা গেছে একই পারমাণবিক ভরের বিভিন্ন মৌলের পরমাণু আবিষ্কৃত হয়েছে। যাদেরকে আইসোবার বলা হয়। 

যেমন- কপার ও জিংকের পারমাণবিক ভর 64.

আবার, ক্যালসিয়াম ও আর্গনের পারমানবিক ভর সংখ্যা 40.

সুতরাং বলা যায়, আইসোবারের ক্ষেত্রে ডাল্টনের পরমাণুবাদ অকার্যকর।