ফেরিওয়ালা আমাদের একজন অতি পরিচিত একজন ব্যক্তি। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায়  ফেরিওয়ালা – অনুচ্ছেদ লিখতে আসে। তাই আমি  ফেরিওয়ালা – অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায়  ফেরিওয়ালা – অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা কয়েকটি অনুচ্ছেদ দেখে তারপরে নির্বাচন করবে কোনটা তোমাদের জন্য সঠিক হবে তবে আমি যে অনুচ্ছেদ লিখেছি সকল শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে লিখেছি। তোমরা যে শ্রেণীতে লেখাপড়া করো না কেন আমার এই  ফেরিওয়ালা – অনুচ্ছেদ লিখতে পারো।

ফেরিওয়ালা – অনুচ্ছেদ 

আমি ফেরি করি হরেক রকমের পণ্য,

রোদে ঘামে বৃষ্টি ভিজে সোনার জীবন নষ্ট।

ফেরি করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে যে জীবন পরিচালনা করে তাকে বলা হয় ফেরিওয়ালা। একজন ফেরিওয়ালা মূলত চলমান দোকান হিসেবে কাজ করে৳ এরা কখনো কখনো ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আবার কখনো একক পণ্যের সেল এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন দোকান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে শহর এবং গ্রামের রাস্তা পথে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে। ফেরিওয়ালা হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি পণ্য বিক্রয়ের জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ান।

আরো পড়ুনঃ   অনুচ্ছেদ – সেরা ৫০ টি – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

এরা সাধারণত মাথায় করে অথবা বিভিন্ন যানবাহন যেমন ভ্যান, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ইত্যাদি করে পণ্য এক স্থান থেকে স্থানে পরিবহন করে। অনেক সময় মাথায় একটি বড় ডালা নিয়ে তার মধ্যে অনেক পণ্য নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পণ্য বিক্রি করে। ফেরিওয়ালা আমাদের নিত্যদিনের পরিচিত একজন ব্যক্তি কারন প্রতিদিনই আমরা তাদেরকে পাড়ায় পাড়ায় বা রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র, মাছ, তরকারি, কাপড় চোপড়, ফল, খাবার, চুড়ি, ফিতা ইত্যাদি বিক্রি করতে দেখি। অনেক সময় এরা বাকিতে পণ্য বিক্রি করে-

সস্তায় পাবে পণ্যগুলি দু আনা দিলে হবে,

বাকি দিলে টাকা তুমি কবে আমায় দিবে?

এরা প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে আমাদের বাসার সামনে এসে হাজির হয়। অনেক কম দামে তাদের কাছে জিনিস পাওয়া যায় বলে মানুষ তাদের কাছ থেকে পণ্য কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। ফেরিওয়ালা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ধরনের খেলনা, কাপড়-চোপড় সহ নানাবিধ পণ্য বিক্রি করে আর ফেরিওয়ালার প্রধান ক্রেতা হচ্ছে শিশু এবং মহিলা কারণ ফেরিওয়ালারা খুব ভালোভাবেই জানেন কিভাবে ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে হয়।

আরো পড়ুনঃ  লঞ্চ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

যার কারণে তারা ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কথা বলে থাকেন। শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য মাঝেমধ্যে তারা বিভিন্ন ধরনের বাঁশি বাজায়, হুইসেল বাজায় অথবা ঘণ্টা বাজায় যাতে করে তার ক্রেতাগণ বুঝতে পারে ফেরিওয়ালা এসেছে এবং অনেক সময় গান ও গায়। তবে ফেরিওয়ালারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশি গরীব তারা দিন এনে দিন খায়। সারাদিন তারা পথে পথে ঘুরে জিনিস বিক্রি করে যে টাকা অর্জন করে এর মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে না।

ফেরিওয়ালারা সমাজের কাছে অবহেলিত। ফেরিওয়ালাদের বিভিন্ন শব্দ করায় মাঝেমধ্যে অনেকেই বিরক্ত হয়, যা আসলেই ঠিক নয় কারণ ফেরিওয়ালাদের আগমনে আমাদের অপকারের চেয়ে উপকার বেশি হয়। তাই আমাদের উচিত এই নিম্ন আয়ের ফেরিওয়ালাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।

শেষ কথা

আমাদের সমাজে কত ধরনের পেশা রয়েছে তার কোন ঠিক নেই। ফেরিওয়ালা হলো তাদের মধ্যে অন্যতম একজন পেশাদার ব্যক্তি।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আমি তোমাদের জন্য ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি এবং বিভিন্ন কবির কবিতার মাধ্যমে ফেরিওয়ালাদের জীবন যাত্রা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

Rate this post