ভূমিকা: বাংলা সাহিত্যের তিন যুগ প্রাচীনযুগ (৬৫০-১২০০ খ্রি.), মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০ খ্রি.), আধুনিক যুগ (১৮০১ খ্রি. থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত। প্রত্যেক যুগেরই কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের গৌরব নিয়ে উনিশ শতকের শুরুতেই বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের যাত্রা। খ্রিষ্টান মিশনারি এবং ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে প্রথমবারের মতো পদ্যের চর্চা শুরু হয়- যা পূর্বে বাংলা সাহিত্যে ছিল না। সুতরাং আঠারো শতকের সমাপ্তি এবং উনিশ শতকের শুরুতে বাংলা সাহিত্যে যে অবিনবত্বের ছোঁয়া লাগে তার মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের যাত্রা ঘটে। এ দেশে ইংরেজ আগমনের ফলপ্রসূ প্রভাবের সাথে এ যুগের সম্পর্ক ছড়িয়ে আছে। পাশ্চাত্য প্রভাবে এদেশের সমাজজীবনে যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল তাতে ভাবের জগতেও সংঘাত। আর তা সাহিত্যের ইতিহাসে সৃষ্টি করে নতুন বেগ। আর সাহিত্যে ঘটে আধুনিকতার প্রতিফলন। উনিশ শতকের শুরুতে বাংলা সাহিত্যে যে অভিনব যাত্রাপথ সূচিত হয়- তার অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য ও লক্ষণ চিহ্নিত করেছেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসবেত্তাগণ।

আধুনিক যুগের বাংলা সাহিত্যের যুগলক্ষণসমূহ: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে:

মানবিকতা: মধ্যযুগের সাহিত্যে দেব প্রাধান্য থাকায় মানুষের কথা সেখানে নেই। আধুনিক যুগে মূল্যবোধের পরিবর্তনের ফলে মানুষের প্রতি কবি-সাহিত্যিকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। মানুষ এখন নিজের সৃষ্টিশক্তিতে বিশ্বাসী। আধুনিক যুগে এ মানবধর্মই সাহিত্যের ধর্ম হয়ে উঠল। মানুষ দেবত্বের আসন অলংকৃত করল। মধুসূদনের কাছে অবতার রামচন্দ্রের চেয়ে রাবণ ও মেঘনাদ শ্রেষ্ঠ। নবীনচন্দ্র সেনের শ্রীকৃষ্ণ, অমিতাভ, খ্রিষ্ট মানুষ হিসেবে চিত্রিত, বঙ্কিমচন্দ্রের শ্রীকৃষ্ণ মানবিক গুণের আধার। ক্রমে কাব্যে, মহাকাব্যে গল্প-উপন্যাসে, নাটক প্রবন্ধে সাধারণ মানুষ জায়গা করে নেয়। মানুষের আনন্দ-বেদনার রূপায়ণ সাহিত্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ মানবিকতাই আধুনিক বাংলা সাহিত্যকে স্বাতন্ত্র্য প্রদান করেছে।

ব্যক্তিচেতনা: আধুনিক যুগের অপর লক্ষণ ব্যক্তিচেতনা। ব্যক্তি হিসেবে মানুষের স্বতন্ত্র মর্যাদা মধ্যযুগের কোনো কাব্যে পরিলক্ষিত হয়নি। ব্যক্তির মর্যাদা, ব্যক্তিগত প্রেম-ভালোবাসা সাহিত্যে প্রাধান্য পেয়েছে। মাইকেল
মধুসূদনের কাব্যে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের স্ফুরণ ঘটে প্রথম। তার পূর্বে পাত্রপাত্রীর ব্যক্তিবৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়নি।
চরিত্রগুলো ছিল টাইপ জাতীয়।

সাময়িকপত্র: সাহিত্য মঠ-মন্দির এবং রাজসভার গণ্ডি পেরিয়ে আধুনিক যুগের সাহিত্য জনগণের নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করল। এর ফলে সাময়িকপত্রের সৃষ্টি; এর মাধ্যমে জ্ঞান ও আনন্দ বিতরণের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম অতি সাধারণ মানুষের ঘরের দুয়ারে পৌঁছে গেল।

আত্মচেতনা ও আত্মপ্রসার: আধুনিক সাহিত্যের বিশিষ্ট লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত আত্মচেতনা ও আত্মপ্রসার। কবি হৃদয়ের যথার্থ প্রতিফলন বাংলা কাব্যে আধুনিক যুগের পূর্বে পরিলক্ষিত হয়নি। এ যুগে কবিদের ভাবনা কল্পনার পরিসীমায় বাইরের বস্তুর চেয়ে অন্তরের অনুভূতির মূল্য অনেক বেশি। কবিমনের নিজস্ব অনুভূতি উপলব্ধির নিদর্শন এতদিন অবর্তমান ছিল। নিজের হৃদয়কে দেখার সম্ভাবনা এ সময়ে প্রবল হয়। গীতিকবিতার পরিসীমায় এ বৈশিষ্ট্যের পরিচয় সহজে পাওয়া যায়। কবিমনের বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুভূতি গীতিকবিতায় রূপলাভ করে। কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী বাংলা কবিতায় এ বৈশিষ্ট্যের প্রথম পরিচয় দেন। আত্মকেন্দ্রিকতার লক্ষণ তার রচনায় পাওয়া যায়। কবির নিজের হৃদয়ানুভূতি প্রকাশের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। আর কবিহৃদয়ের উপলব্ধি অনুভূতিকে পাঠক সমাজের জন্য পরিবেশনার মধ্যে কবির আত্মপ্রসারের বৈশিষ্ট্য নিহিত। কবির বক্তব্যের সর্বজনীনতা এ যুগেই প্রথম বারের মতো প্রকাশ পায়। কবি-সাহিত্যিকদের নিজের কথা এমন যে তা সকলের কাছে আবেদনময়ী হয়ে উঠে। সর্বজনীনতার জন্য সাহিত্য এখন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য।

সমাজচেতনা: আধুনিক যুগের অপর লক্ষণ সমাজচেতনা। ইংরেজি শিক্ষা ও সভ্যতার সান্নিধ্যে এসে বাঙালির
যে মানসিক পরিবর্তনের সূত্রপাত হয় তার প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার চেষ্টা দেখা দেয়। ঈশ্বরগুপ্তের ব্যঙ্গ কবিতাগুলো এর নিদর্শন। বিজাতীয় আচার ব্যবহারের প্রতি তীব্র কটাক্ষপাতে সমাজচেতনার প্রকাশ- সে সময়কার পাঠ্যপুস্তক ও সামাজিক নাট্যরচনায় তার পরিচয় স্পষ্ট। বাংলা নাট্য সৃষ্টির আদিপর্বে সমাজচেতনাই বিশেষভাবে প্রতিফলিত। রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখ লেখকের রচনাতেও এর নির্দশন মিলে। সমাজ সম্পর্কে চিন্তা এবং কল্যাণ ব্রতে আধুনিক যুগের লেখকগণ আত্মনিয়োগ করেন বলে উনিশ শতকের সকল শ্রেণির সাহিত্যে তার। প্রকাশ ঘটে।

দেশপ্রেম বা জাতীয়তাবোধ: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের লক্ষণ হিসেবে বিশিষ্ট দেশপ্রেম বা জাতীয়তাবোধ
পাশ্চাত্য প্রভাবে স্বদেশের সঙ্গে এদেশীয় লোকের নতুন পরিচয় সাধিত হয়। স্বদেশভক্তি ও স্বাধীনচেতনা রেনেসাঁর ফসল। মধ্যযুগের রাজানুগত্যের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় চেতনাবোধের উদ্ভব ও দেশীয় ঐতিহ্যচর্চার বিকাশ ঘটে। ঈশ্বরগুপ্ত, হেমচন্দ্র, নবীন সেন প্রমুখ কবির রচনায় এ বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছে। উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্য জাতীয়তাবোধের প্রেরণায় উজ্জ্বল।

রোমান্টিকতা: আধুনিক যুগের সাহিত্য ইউরোপীয় সাহিত্যের রোমান্টিক কাব্যের আদর্শে প্রভাবান্বিত হয়েছে।
রোমান্টিক কবিতার লক্ষণ হচ্ছে কল্পনা প্রবণতার অসাধারণ বিকাশ। বাংলা গীতিকাব্যে রোমান্টিসিজম প্রবল প্রভাব বিস্তার করে। ইংরেজ কবি শেলীর স্বাধীন চিত্তবৃত্তি অতীন্দ্রিয়তা ও ভাবোন্মত্ততা, কীটসের সৌন্দর্যচেতনা ব্রাউনিং এর মিস্টিসিজম, ওয়ার্ডসওয়ার্থের অতি সাধারণ বস্তুতে গভীর আনন্দ উপলব্ধি, টেনিসনের শব্দ শিল্পের সৌষ্ঠব পাশ্চাত্য রোমান্টিক কবিদের এ সমস্ত বৈশিষ্ট্য কবি বিহারীলাল ও রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে বাংলা গীতিকবিতার ধারায় অনুসৃত হয়েছে। রোমান্টিকতার বৈশিষ্ট্য অনুসারে প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্য সম্ভার কবির দৃষ্টিতে নতুনভাবে ধরা পড়ে কাব্যকে রসমণ্ডিত করে তুলেছে। আর তাই রোম্যান্টিকতা আধুনিক বাংলা সাহিত্যে যুগলক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

মৌলিকতা: আধুনিকতার অন্য একটি লক্ষণ মৌলিকতা। মধ্যযুগের বাংলা কাব্য ছিল অনুবাদ ও অনুকরণমূলক। সে সময়ে একই বিষয়ে অনেক কবি কাব্য রচনা করে মৌলিকহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। মঙ্গলকাব্য, অনুবাদসাহিত্য, বৈষ্ণব পদাবলী, জীবনী সাহিত্য প্রভৃতি সাহিত্যধারায় একই বাণী উচ্চারিত হয়। কিন্তু আধুনিক যুগে মৌলিক সাহিত্য সৃষ্টির প্রেরণা আসে। এ যুগে ইতিহাস বা পুরাণ কাহিনিরও নবরূপায়ণ হয়েছে। সর্বোপরি জগৎ ও জীবনের বিচিত্র বৈশিষ্ট্য সাহিত্যের উপকরণ হিসেবে গৃহীত হয়ে মৌলিকতার পরিচয়টি বড়ো করে তুলেছে। ঈশ্বরগুপ্তের কবিতা, রঙ্গলালের কাব্যে গতানুগতিকতা পরিহার করে ভাবের নতুনত্ব ফোটানো হয়েছে। এমনকি মধুসূদন পুরাণকে নতুন রূপদান করেছেন।। মধ্যযুগে যে ক্ষেত্রে এ ধরনের ধর্মীয় বিষয়বস্তু অবলম্বনে অসংখ্য কবি কাব্য রচনা করেন, আধুনিক যুগেও তা অনুসৃত না হয়ে বিষয়বৈচিত্র্য সাহিত্যের উপজীব্য হয়েছে। বিদ্যাসাগর, বঙ্গিমচন্দ্র, মধুসুদন প্রমুখ কবি সাহিত্যিকগণের সৃষ্টিতে বিষয়ের বৈচিত্র্য লক্ষণীয়। ঈশ্বরগুপ্তের কবিতায় এ লক্ষণটি প্রথমবারের মতো সুস্পষ্ট হয়ে উঠে।

নাগরিকতার প্রকাশ: আধুনিক যুগেই প্রথম বাংলা সাহিত্যে নাগরিকতা প্রবেশ করে। এ যুগে শিক্ষাদীক্ষার কেন্দ্রস্থল হলো নগরগুলো। সেখানকার জীবন অবলম্বনে সাহিত্যসৃষ্টির প্রয়াস এ যুগে বিশেষভাবে লক্ষণীয় হয়ে উঠে। নগরকেন্দ্রিক সাহিত্যের বিকাশ এ যুগের বৈশিষ্ট্য। নাগরিকতা মধ্যযুগে ছিল না। এ গুণের জন্যই পাশ্চাত্য ভাবধারা বাংলা সাহিত্যের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। তাই বাংলা সাহিত্য এখন নাগরিকতার মাধ্যমে বিশ্বপথিক।

মুক্তবুদ্ধির চর্চা: আধুনিক যুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লক্ষণ হিসেবে বিবেচ্য মুক্তবুদ্ধি। মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্য নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল। কিন্তু আধুনিক যুগে এসে বাংলা সাহিত্য মুক্ত ও উদার এক পরিবেশ পেল যাতে মুক্তবুদ্ধির চর্চা সহজ হয়। আর তা সম্ভব হয়েছে ইউরোপীয় শিক্ষা সংস্কৃতির প্রভাবে। গতানুগতিকতার ধারায় এ যুগের কবিসাহিত্যিকগণ সাহিত্য-সৃষ্টি না করে মুক্তবুদ্ধির আশ্রয় নেন। তাই গতানুগতিক বিশ্বাস পরিবর্তিত হয়ে সাহিত্যে মুক্তবুদ্ধির চর্চা স্থান পায়, যা কিছু পুরাতন তাই সত্য- এ প্রবণতা পরিত্যক্ত হয়ে তা যুগোপযোগী জ্ঞানের আলোকে যাচাই করার বৈশিষ্ট্য এ যুগে প্রকাশমান।

আঙ্গিকের রূপান্তর আধুনিক যুগের অন্যতম লক্ষণ আঙ্গিকের রূপান্তর। প্রাক আধুনিক কাল পর্যন্ত সাহিত্য বলতে শুধু কাব্যকে বুঝাত। বাংলা সাহিত্যের আঙ্গিকন্ত বৈচিত্র্যময় রূপ পাশ্চাত্য প্রভাবের ফল। গদ্যভিত্তিক উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাটক, প্রবন্ধ ইত্যাদি রচনারীতির আদর্শ এ সময়ে বিকশিত হয়। এমনকি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী কাব্যধাবায় মধ্যেও বৈচিত্র্য আসে। মহাকাব্যে গীতিকবিতা, খণ্ডকবিতা ইত্যাদি আঙ্গিকগত রূপান্তর এ সময়কার বৈশিষ্ট্য। সাহিত্যের বিচিত্র প্রকৃতি সম্পর্কে লেখকেরা এ সময়ে সচেতন হয়ে উঠেন। এ যুগের লেখকেরা শিল্প সচেতনতার বিষয়ে তৎপর হন। শব্দ ব্যবহারের বিচিত্র কৌশলও এ সময়ে আবিষ্কৃত হয়। ছন্দের ক্ষেত্রেও এ সময়ে বৈচিত্র্য ঘটে। চরিত্রচিত্রণ পাশ্চাত্য আদর্শানুযায়ী ঘটে এবং কাব্যের অন্তর্নিহিত ভাব পাশ্চাত্য কাব্যের প্রেরণায় রূপায়িত হতে থাকে। সভ্যতা সংস্কৃতির সম্প্রসারণে মানবজীবনের যে সহস্রমুখী প্রসার ঘটেছে তাকে রূপায়িত করার জন্য গ্রহণ করতে হয়েছে এসব বিচিত্র পন্থা- গদ্যে পদ্যের নানা ধারা ছন্দ ও রীতির নানা কৌশল।

বৈচিত্র্যময় কাব্যাঙ্গিক: আধুনিক পুরোনো একঘেয়ে কবিতার প্রকরণ ত্যাগ করে আধুনিক বাংলা সাহিত্যে। কবিতারও আঙ্গিকশৈলী নতুনভাবে বিন্যস্ত হলো। যেমন- মহাকাব্য, কাহিনি বা আখ্যায়িকামূলক কাব্য, সনেট, গীতিকবিতা প্রভৃতির সূচনা ঘটল আধুনিক যুগে।

মুদ্রণ যন্ত্রের প্রচলন: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রাচীন আধুনিকের ভেদরেখা টেনে দিয়েছে মুদ্রণ যন্ত্রের প্রচলন। প্রাচীন সাহিত্য হাতে লেখা, কণ্ঠ আশ্রিত ও পুঁথিবাহিত, অপ্রাচীন সাহিত্য ছাপা বই সম্প্রসারিত। ছাপাখানার আনুকূল্যে সাহিত্য সৃষ্টিতে গতিশীলতার প্রেরণা এসেছে। স্বল্পসংখ্যক পাঠকের দৃষ্টিসীমা অতিক্রম করে সাহিত্য সকল মানুষের সম্পদ হয়ে উঠার সুযোগ মুদ্রণ যন্ত্রেরই দান। এর ফলশ্রুতি হিসেবে আমরা পাই সাময়িকপত্র। মুদ্রণ যন্ত্রের জন্যই সাময়িকপত্রের প্রকাশ ত্বরান্বিত হয়।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, হঠাৎ করেই কোনো সাহিত্য একটি যুগলক্ষণ পরিত্যাগ করে আরেক যুগলক্ষণকে অবলম্বন করতে পারে না। তা একটি দীর্ঘদিনের প্রয়াসের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন সব ভাবধারা ও মূল্যবোধকে গ্রহণ করে। ফলে এ নতুন ও কাঁচা মূল্যবোধগুলো একটি বিশেষ অবস্থাপ্রাপ্ত হয় আর তখনই ভিন্ন একটি যুগ হিসেবে পরিগণিত হয় সাহিত্যের অঙ্গনে। আর বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগও একটি দীর্ঘতর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়ে বর্তমান অবস্থায় এসে পৌছেছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।

Rate this post