আধুনিক বাংলা কবিতার বিশিষ্ট কবি ও পথ-প্রদর্শক কবি বুদ্ধদেব বসু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গিয়ে ‘রবীন্দ্রনাথের প্রতি’ কবিতাটি রচনা করেছেন।

১৯৪২ সালের ৮ই মে (১৩৪৯ সালের ২৫শে বৈশাখ) অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের তিরোধানের পরবর্তী প্রথম রবীন্দ্র জন্ম-তিথিতে কবি বুদ্ধদেব বিশ্বকবির আদর্শ ও মানবপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বমহাযুদ্ধের বিষবাষ্পময় পরিবেশ ও পরিস্থিতির অস্থিরতার মধ্যে, এ যুগের কবি বুদ্ধদেব স্মরণ করছেন চিরযুগের কবি রবীন্দ্রনাথকে। সমসাময়িক যুগের অন্যান্য আধুনিক কবিগণ যখন রবীন্দ্রনাথের ভাব ও আদর্শকে শাণিত ব্যঙ্গবাণে বিদ্রূপে তৎপর সেই সময় আধুনিক কাব্যের অন্যতম পুরোধা কবি বুদ্ধদেবের এই শ্রদ্ধা নিবেদন নিঃসন্দেহ ও গুরুত্বপূর্ণ তথা তাৎপর্যব্যঞ্জক।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে ফ্যাসিস্ট শক্তির অভ্যুত্থানে সমগ্র পৃথিবীতে দেখা দিয়েছিল করাল গ্রাসের ছায়া; দুর্বার পশুশক্তি সেদিন মানুষের শুভবুদ্ধি ও কল্যাণচেতনার কণ্ঠরোধ করেছিল। পৃথিবীর শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষমাত্রেই হয়ে উঠেছিলেন আতঙ্কগ্রস্ত। ভারতবর্ষের মানচিত্রেও পেয়েছিল সেই ফ্যাসিস্ট বর্বর শক্তির আক্রমণের ছায়া। দস্যুশক্তির লুব্ধতার গ্রাসে রাহুগ্রস্ত হয়েছিল ভারতের সনাতন শান্তিচেতনার শশধর কিন্তু মানবপ্রেমিক কবি রবীন্দ্রনাথ এমন এক পৃথিবীর রূপ কল্পনা করেছিলেন যেখানে মানুষে মানুষে মিলনের সেতু রচনা হবে, যেখানে বিরোধ ও দ্বন্দ্ব কোনদিনই মানব সম্পর্ককে ব্যাহত করবে না; যেখানে জাতি ও সম্প্রদায়গত বৈষম্য মানব সভ্যতাকে ভ্রুকুটি করবে না। যেখানে মহাযুদ্ধের বিভীষিকা তার করাল গ্রাসে মানব সভ্যতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হবে না। রবীন্দ্রনাথের মতো মানবতন্ত্রী কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেল্‌মা লাগেয়লক বলেছিলেন, “When it shall down that day, so distant, so ardently longed for when life has reached its goal, when the final harmony is attained and the old dream of paradise has become a reality; then will the men of that time remember the Indian Seer (Rabindranath) as one among those who prepared the happy future, as one among those who, with invincible hope, uprooted the poison plants of hatred to sow in their stead the apples of Love and the roses of Peace.

কবি বুদ্ধদেব বসুও এই দৃষ্টিতে ক্রান্তদর্শী মানবতাবাদী কবি রবীন্দ্রনাথের আদর্শের কথা স্মরণ করছেন দেশের ও জাতির দুর্দিনের ক্ষণগুলিতে। কবি বুদ্ধদেব মনে করেন—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ উৎসরূপের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সভ্যতা তথা বিশ্বের মানব সভ্যতা যেন শ্মশানশয্যায় শায়িত। ফ্যাসিস্ট নাৎসী দস্যুদের দ্বারা মানব সভ্যতার কল্যাণময় রূপ আজ আক্রান্ত—কল্যাণের সৃষ্টিরূপ আজ রাহুগ্রস্ত। শক্তির দপ্ত মহামারীর মতো পৃথিবীর দিকে দিকে বিস্তার লাভ করেছে—মানুষের কর্মে ও মজ্জায়, সৃষ্টি ও বিকাশে সেই মহামারীর সংক্রমণ। মানুষের জীবনের আনন্দ, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, স্বাভাবিক শক্তি সবই আজ কেড়ে নিয়েছে। শক্তিস্পর্ধা দস্যুর দল। রক্তপায়ীর উদ্ধত সঙিনের কাছে মানুষের প্রাণের কোন দাম নেই; চতুর্দিকে কেবল মৃত্যুর করাল গ্রাস। স্থলে জলে-অন্তরীক্ষে মৃত্যুদূত বর্বর রাক্ষসের হানা—ফ্যাসিস্ট নাৎসী রক্তপায়ীর দল কর্কশ কণ্ঠে চীৎকার করছে তাদের চেয়ে বড়ো শক্তি আর কেউ নেই। তারা দুর্বার শক্তি নিয়ে রাক্ষসের বিক্রমে ছুটে আসছে মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও প্রাণকে কেড়ে নেবার জন্য। উন্মত্ত জন্তুর দল সোনার হরিণের খোঁজে দেশে দেশে দিশে দিশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে; তাদের পশুশক্তির ভয়ে মানুষের প্রাণ আজ শিহরিত ও বিকম্পিত। ভারতের বুকে সোনার হরিণের লোভে ফ্যাসিস্টের দল, পশুশক্তি নিয়ে আবির্ভূত—এদেশের মানুষের স্বাভাবিক প্রাণ-সৌন্দর্য ত্রস্ত শিহরণে মুক-বিধুর।

ভারতের স্নিগ্ধ-শান্ত পরিবেশেও আজ বর্বর রাক্ষসের হুঙ্কার লোভের মদমত্ত লালা নিঃসরণ। ভারতের শান্তিময় মানুষের মন ও প্রাণ গ্রাস করতে উদ্যত সেই রক্তপায়ী অত্যাচারী পশুশক্তির প্রতীক ফ্যাসিস্ট ও নাৎসীরা। কবি ভারতের বুকে সেই পশুশক্তির অত্যাচারের পটভূমিকায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের মানবতার শাশ্বত বাণী ও অভয়মন্ত্রের কথা স্মরণ করছেন। রবীন্দ্রনাথের মানবতার বাণী, বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ এবং সত্য-শিব-সুন্দরের অভীমন্ত্র কবিকে তথা সমগ্র ভারতবাসীকে দুঃখ ও লাঞ্ছনা সহ্য করবার শক্তি ও প্রেরণা জোগায়। কবি অন্তরের অন্তঃস্থলে প্রতিষ্ঠিত প্রত্যয়বাণী দিয়ে বিশ্বাস করেন যে জীবনের জয় সুনিশ্চিত–শাশ্বত সত্যের জয় অবধারিত। ভারতের জাতীয় জীবনের দুর্যোগের ও সঙ্কটের দিনে রবীন্দ্রনাথের বাণী অক্ষয় মন্ত্রের প্রেরণা দেবে এবং মানবতাকে শক্তি, ক্রোধ ও সাহস জোগাবে। ভারতবাসীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে কবি দৃঢ়চিত্তে বিশ্বাস করেন যে রবীন্দ্র আদর্শের প্রেরণায় আমরা সঙ্কট ও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারব। কবির দৃঢ় বিশ্বাস— 

‘অন্তরে লভেছি তব বাণী

তাই তো মানি না ভয়, জীবনেরই জয় হবে জানি।’

কবি বুদ্ধদেব বসুর প্রথম কাব্য ‘মর্মবাণী’তে রবীন্দ্র-প্রভাবের অনুসৃতি গভীরভাবে লক্ষ্য করা যায়। কেবল ভাববস্তুতে নয়, কবিতার কাব্যগঠনে এমনকি নামকরণেও রবীন্দ্রনাথকে তিনি গ্রহণ করেছেন। তাঁর প্রথম দিককার কয়েকটি কবিতা যেমন ‘অরূপ’, ‘জীবনদেবতা’, ‘পাত্রী’ প্রভৃতির বিষয়, ভাব এবং ভাষা ছন্দের অনুসৃত রবীন্দ্রনাথের কবিতাই স্মরণ করিয়ে দেয়। বুদ্ধদেব বসু তাঁর কিশোর বয়সের স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘‘অন্তত একজন যুবকের কথা আমি জানি, যে রাত্রে বিছানায় শুয়ে ‘পূরবী’ আওড়াতো, আর দিনের বেলায় মন্তব্য লিখত রবীন্দ্রনাথকে আক্রমণ করে।” বুদ্ধদেব বসুর রবীন্দ্রানুরাগ একসময় যে কত আন্তরিকতায় পূর্ণ ছিল, তার পরিচয়ও তিনি বিভিন্ন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন।

অথচ একসময় আধুনিক কবিগণ রবীন্দ্র-বিরোধিতায় প্রবলভাবে মেতে উঠেছিলেন তাঁদের অনেকেই বুদ্ধদেবের গোষ্ঠীতে আবর্তিত হয়েছিলেন। ‘কল্লোল’ পত্রিকায় অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন

‘পশ্চাতে শত্রুরা শর আগমন হানুক ধারালো

সম্মুখে থাকুন বসে পথ রুধি রবীন্দ্র-ঠাকুর

আপন চক্ষের থেকে বলিব যে তীব্র তীক্ষ্ণ আলো

যুগ-সূর্য ম্লান তার কাছে। মোর পথ আরো দূর।’

বুদ্ধদেব বসুর তাঁর সেই সময়ের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন, “গুরুদেবের কাব্যকলা মারাত্মকভাবে প্রতারক; সেই মোহিনী মায়ায় প্রাকৃতি না বুঝে বাঁশি শুনে ঘর ছাড়লে ডুবতে হবে চোরাবালিতে।” কল্লোল যুগের কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, “যাকে কল্লোল যুগ বলা হয় তার প্রধান লক্ষণই বিদ্রোহ, আর সে বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্যই রবীন্দ্রনাথ। সেই প্রথম রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে অভাববোধ জেগে উঠল—বন্ধ্যা প্রাচীনের সমালোচনার ক্ষেত্রে নয়, অর্বাচীনের সৃষ্টির ক্ষেত্রেই, মনে হল তাঁর কাব্যে বাস্তবের ঘনিষ্ঠতা নেই, সংবাদের তীব্রতা নেই, নেই জ্বালা-যন্ত্রণার চিহ্ন। মনে হল, তাঁর জীবনদর্শনে মানুষের অনস্বীকার্য শরীরটাকে তিনি অন্যায়ভাবে উপেক্ষা করে গেছেন।”

পরবর্তীকালে দেখা গেছে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তকে তাঁর মত পরিবর্তন করতে হয়েছে—রবীন্দ্রনাথকে উপেক্ষা করার চিন্তা দূর করতে হয়েছে বুদ্ধদেব বসুকেও। রবীন্দ্রনাথকে যে অস্বীকার করা কোনমতেই সম্ভব নয়, একথা তাঁরা দুজনেই যেমন বুঝেছিলেন; তেমনি রবীন্দ্র-ভাবাদর্শকে স্বীকার করেছেন আধুনিক যুগের অনেক কবিই।

যথার্থ বিচারে বলা যায়, বুদ্ধদেব বসু রবীন্দ্র-প্রভাবের অনুবর্তী হননি ঠিকই কিন্তু তিনি রবীন্দ্র-কাব্যধারায় স্নাত হয়ে স্নিগ্ধতা অর্জন করেছেন। তাঁর কাব্য-ভাষার ও গদ্যের বাচনভঙ্গীর প্রসাদগুণ ও কমনীয়তার সৌষ্ঠব যে রবীন্দ্র-সৃষ্টি আত্মস্থ করার ফলশ্রুতি, একথা বুদ্ধদেব নিজেও স্বীকার করেছেন এবং তাঁর সমালোচকরাও স্বীকার করেছেন। রবীন্দ্রনাথের কাব্যে প্রেম ও সৌন্দর্যের যেভাবে জয়গান করা হয়েছে, কবি বুদ্ধদেব তা থেকে গ্রহণ করেছেন প্রেম ও সৌন্দর্যের অধিকার ও তাৎপর্য রবীন্দ্রনাথ প্রেমের রোমান্টিক রূপের মধ্যে এক বিদেহী মহিমা দেখেছেন। যে বিকশিত বিশ্ববাসনার অরবিন্দ মাঝখানে উর্বশীর পাদপদ্ম স্থাপিত, সেই বিশ্ববাসনাও নয়। তা প্রেমিকের হৃদয়ে আলোর শতদল হয়েই ফুটে ওঠে। এই বিশেষ ভাবের প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রেম-ভাবনার দর্শনটি প্রতিষ্ঠিত, অবশ্য রবীন্দ্রনাথের শেষদিকের কাব্যে ও উপন্যাসে প্রেম-সম্পর্কিত ভাবনা একটু নতুন খাতে প্রবাহিত হয়েছে সেখানে কিছু রক্তমাংসের নারী চরিত্রকে স্বাভাবিকরূপে দেখি আমরা।

(বুদ্ধদেব বসুর কবিতায় প্রেমের দুই রূপই লক্ষ্য করি আমরা। একদিকে দেহসর্বস্বতা, অপরদিকে দেহাতীত অমৃর্তত্বের কামনা—এ দুয়ের দ্বন্দ্বে বুদ্ধদেবের কবিমানস যুগপৎ অলোড়িত ও আন্দোলিত, দেহ ও আত্মার দ্বন্দ্বই তাঁর কবিতার মূল বিষয়রূপে ধরা দিয়েছে—ভোগের কামনা ও প্রেমের সার্থকতা এ দুয়ের দ্বন্দ্ব। রবীন্দ্রনাথকে আত্মস্থ করে তবেই তাঁকে সমালোচনা করার অধিকার লাভ করেছেন কবি বুদ্ধদেব। বুদ্ধদেব বসু ‘রূপান্তর’ কাব্যে রবীন্দ্র-মন্নতার অধ্যায়ের সূচনা এবং ‘দ্রৌপদীর শাড়ী’তে তার পরিণতি। 

‘কবিতারে আরো বেশী ভালোবেসে

আরও ভালবেসেছি নারীরে

যতক্ষণ আমার হৃদয়ে প্রেম

কবিতা না হয়েছে আবার

কবিতাই প্রেম।’

এই অধ্যায়টিকে সমালোচক বলতে চেয়েছেন—’কবির জীবনে রবীন্দ্র অধ্যায়”। “কবি যেন রবীন্দ্রনাথের সমাধান গ্রহণ করে আপন ব্যক্তিগত সমস্যাকে দূর করতে চাইছেন, আপন শক্তিতে আস্থা হারিয়ে মন্ত্রের সাহায্য নেবার মতো।” বুদ্ধদেবের দৃষ্টিতে যৌবন শেষে প্রৌঢ়তার সঞ্চার যৌবনের রূপান্তর মাত্র—শীতের শেষে বসন্তের নব-রূপায়ণ। যযাতির মনে যৌবনের আকাঙ্ক্ষা ফুরায় না, প্রৌঢ় বয়সে যযাতি-প্রতিম কবিমন তাই যৌবন সম্বন্ধে নিরাসক্তি প্রকাশ করেন না। কিন্তু বসন্তের নব-রূপায়ণের মতো তিনি তার মধ্যে দেখেন। প্রেমের সূক্ষ্ম অনুভূতির রশ্মি-বিচ্ছুরণ। তিনি প্রেমকে দেখেন সৃষ্টির মৌল-প্রেরণারূপে—এমন কি তাঁর কাব্যসৃষ্টির প্রেরণার উৎসরূপে। প্রেরণার উৎসে প্রেম ও কবিতা তাঁর দৃষ্টিতে একাকার হয়ে যায়।

শীতের প্রার্থনা, বসন্তের উত্তর’ কাব্যের মূল সুর এইটিই। প্রেম এখানে দর্শনের স্তরে উন্নীত; কবির অনুভূতি এখানে বোধ ও বোধির স্তরে নিবোধত। কবি এখন থেকে নিজের মনকে গভীরতর জীবনসত্যের উপলব্ধিতে সংহত করতে চান। শীতের প্রার্থনাতেই তো ঋতুরাজ বসন্তের সমাগম। নতুন প্রজন্মের মধ্য দিয়ে সংহত প্রেমের সার্থকতা। বর্ষা-শরৎ-হেমন্তের উদ্দামতা শীতের নির্মোক-মুক্তির মধ্য দিয়ে সংবর্ত সংহত।

রবীন্দ্রনাথের রূপান্তরের দর্শন কবি গ্রহণ করলেও রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি রহস্যের বিবর্তনবাদের মূল সূত্রটুকু কবি মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেননি। কিংবা যে অধ্যাত্ম-বিশ্বাসের গভীরতা থেকে সেই বিবর্তনবাদের ধারণা জন্মায়, সেই অধ্যাত্ম-বিশ্বাসের সুর যে তাঁর অজ্ঞাত। আত্ম-বিশ্বাস জেগেছে; কিন্তু অধ্যাত্ম-বিশ্বাস আসেনি। ফলে কবির মন সৃষ্টির জিজ্ঞাসার বৃত্তে আবর্তিত হয়েছে, কেন্দ্রমূলে পৌঁছুতে পারেনি। আধুনিক যুগের কবি আধুনিক জীবনের বীক্ষায় আবর্তিত হয়েছেন—জিজ্ঞাসার উত্তরের কেন্দ্রবিন্দু তাঁর অধিগত হয়নি।

Rate this post