স্থিতিশীল বা সুস্থায়ী উন্নয়নে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়।


প্রধানত দেশের মােট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা GDP-এর ওপর ভিত্তি করে দেশের উন্নয়ন পরিমাপ করা হয়।


সাধারণভাবে উন্নয়ন হল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার সার্বিক অগ্রগতি।


মানব উন্নয়ন বলতে খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, সাক্ষরতা, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে মানুষের অগ্রগতিকে বােঝায়।


উন্নয়নের ধারণাটি সময় এবং অঞ্চলভেদে পৃথক প্রকৃতির।


মাথাপিছু আয় এবং জাতীয় আয়ের দীর্ঘকালীন বৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক বিকাশ বলে।


জাতীয় আয় এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সাথে অর্থনৈতিক পরিকাঠামাের উন্নতি হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে। এর ফলে কোনাে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটে।


অঞ্চল বলতে কোনাে সুচিহ্নিত সীমানার মধ্যবর্তী সমধর্মী এলাকাকে বােঝায়।


কোনাে এলাকার প্রাকৃতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানের জন্য পরিকল্পনা অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়।


অধ্যাপক টেলর-এর মতে, পরিকল্পনা অঞ্চল বলতে সেই অঞ্চলকে বােঝানাে হয় যা বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে অন্য অঞ্চল থেকে পৃথক।


বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে যখন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তখন সেই অঞ্চলকে বৃহৎ পরিকল্পনা অঞ্চল বলে।


বৃহৎ অঞ্চলের পরিকল্পনা গ্রহণ ও রূপায়ণের জন্য স্থাপিত সংস্থাটি হল জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন।


জেলা, ব্লক এবং গ্রামস্তরে ক্ষুদ্র পরিকল্পনা অঞ্চল গড়ে তােলা হয়।


বৃহৎ পরিকল্পনা জাতীয় স্তরে গড়ে তােলা হয় বলে একে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা বলা হয়।


নিরবচ্ছিন্ন বা স্থিতিশীল উন্নয়ন হল ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রয়ােজন মেটানাের সামর্থ্যের সাথে কোনাে আপস না করে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মেটানাে।


কোনাে অঞ্চলের দারিদ্রতাকে দূর করে ওই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নতি ঘটানাে।


ক্ষুদ্র স্কেলে স্থানীয় অঞ্চল জুড়ে যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তাকে ক্ষুদ্র পরিকল্পনা অঞ্চল বলে।


আর্থসামাজিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সংহতি এবং পারস্পরিক নির্ভরতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পৃথক অঞ্চলকে ক্রিয়ামূলক অঞ্চল বা Functional region বলে।


Purchasing Power Parity (ক্রয়ক্ষমতার সামঞ্জস্য)।


ভারতে 1951-56 সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়কাল ছিল।


দুর্গাপুরে নির্মিত ব্যারেজটি দামােদর উপত্যকা পরিকল্পনা অঞ্চলের অন্তর্গত।


মাইথন-পাঞেতে নির্মিত জলাধারটি দামােদর উপত্যকা পরিকল্পনা অঞ্চলের অন্তর্গত।


মানব উন্নয়ন সূচকের ভিত্তিতে পৃথিবীতে ভারতের স্থান 135 তম।


বাহ্যিক অঞ্চল নির্ধারণের দুটি নিয়ন্ত্রকের নাম হল—জলবায়ু ও ভাষা।


জেলা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসন এবং গ্রাম পঞ্চায়েত দ্বারা ক্ষুদ্র পরিকল্পনা অঞ্চল পরিচালিত হয়।


জেলাস্তরে পরিকল্পনা গ্রহণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য গঠিত সংস্থাটি হল—জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পর্ষদ (District Planning and Development Council).


ব্লকের মুখ্য আধিকারিক বিডিও ব্লকস্তরে পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য নিযুক্ত থাকেন।


ছত্তিশগড়ের ভূপ্রকৃতি প্রধানত তরঙ্গায়িত প্রকৃতির, মধ্যভাগ সমতল এবং প্রান্তদেশ উচ্চভূমিযুক্ত।


ছত্তিশগড়ের জলবায়ু প্রধানত শুষ্ক শীতকালীন ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল প্রকৃতির।


ভারতের 26 তম রাজ্য হিসেবে 2000 সালে ছত্তিশগড় রাজ্যটি গঠিত হয়।


চিত্রকূট জলপ্রপাতকে ‘ভারতের নায়াগ্রা বলা হয়।


চিত্রকূট জলপ্রপাতটি ছত্তিশগড় রাজ্যে ইন্দ্রাবতী নদীর ওপর অবস্থিত।


ছত্তিশগড় রাজ্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ হল-কয়লা ও ডলােমাইট।


মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশ নিয়ে ছত্তিশগড় রাজ্যটি গঠিত হয়।


ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর, সরগুজা, কোরিয়া, কোরবা প্রভৃতি জেলায় প্রধানত কয়লা পাওয়া যায়।


ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার বাইলাডিলা ও দুর্গ জেলার দাল্লিরাজহারা অঞ্চলে প্রধানত আকরিক লােহা পাওয়া যায়।


ছত্তিশগড়ে বসবাসকারী প্রধান উপজাতিরা গােন্ড নামে পরিচিত।


বিলাসপুর জেলার মৈকাল পাহাড়ে বক্সাইট পাওয়া যায়।


ছত্তিশগড়কে পরিকল্পনা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করার একটি কারণ হল—আদিবাসী এলাকাগুলির উন্নয়ন ঘটানাে।


বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির রাজধানী আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত।


ছত্তিশগড়ের 35 শতাংশ জমিতে কৃষিকাজ করা হয়।


ছত্তিশগড়ের শতকরা 40 ভাগ লােক কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করেন।


ভারতের মােট আদিবাসী সম্প্রদায়ের 23 শতাংশ লােক ছত্তিশগড়ে বসবাস করেন।


1990-এর দশকের পর থেকে বেঙ্গালুরুতে প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি ঘটায় তাকে নব প্রযুক্তির শহর বলা হয়।


ভারতের শ্রেষ্ট ইলেকট্রনিকস দ্রব্য উৎপাদন কেন্দ্র হওয়ার জন্য বেঙ্গালুরুকে ভারতের ইলেকট্রনিকস রাজধানী বলা হয়।


ভারত ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে বেঙ্গালুরুতে ইন্টারন্যাশনাল টেক পার্ক গড়ে উঠেছে।


দক্ষ ও শিক্ষিত কর্মীদের অতিরিক্ত আয়ের আশায় বিদেশে পাড়ি দেওয়ার ঘটনাকে ব্রেন-ড্রেন বলে।


বেঙ্গালুরুতে ইলেকট্রনিক শিল্পের ব্যাপক উন্নতির জন্য একে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির সাথে তুলনা করে ভারতের সিলিকন ভ্যালি বলা হয়।


জনসংখ্যার বিচারে বেঙ্গালুরু ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম মহানগর।


ভারতের ‘সিলিকন উপত্যকা’ কর্ণাটক রাজ্যে অবস্থিত।


আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলির (যেমন—চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র) সাথে প্রতিযােগিতা।


2011 সালের জনগণনা অনুযায়ী বেঙ্গালুরুর জনসংখ্যা হল 8425970 জন।


2006 সালের 1 নভেম্বর ব্যাঙ্গালাের থেকে বেঙ্গালুরু নামটির প্রচলন হয়।


বেঙ্গালুরু ভারতের বৈদ্যুতিন শিল্প বা ইলেকট্রনিক শিল্পের সর্ববৃহৎ কেন্দ্র।


বিংশ শতাব্দীর সাতের দশক থেকে বেঙ্গালুরু ভারতের তথা এশিয়ার একটি অন্যতম আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে।


বেঙ্গালুরুকে তার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য গার্ডেন সিটি বলা হয়।


হুগলি ও হলদি নদীর মিলনস্থলে হলদিয়া বন্দর অবস্থিত।


হলদিয়া শহরটি পেট্রোরসায়ন শিল্প এবং তার অনুসারী শিল্পগুলির জন্য গড়ে উঠেছে।


হলদিয়া বন্দরটি একটি নদীকেন্দ্রিক বন্দর।


হলদিয়া শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার প্রধান কারণ হল হলদিয়া বন্দরের অবস্থান।


কলকাতা বন্দর গুরুত্ব হারিয়ে ফেলায় তার পরিপূরক বন্দর হিসেবে হলদিয়া বন্দরকে গড়ে তােলা হয়েছে।


কলকাতা থেকে প্রায় 96 কিমি দক্ষিণে হুগলি এবং হলদি নদীর সংযােগস্থলে হলদিয়া বন্দর গড়ে তােলা হয়েছে।


অপরিশােধিত তেল, পাটজাত দ্রব্য এবং চা হল হলদিয়া বন্দরের প্রধান আমদানি ও রপ্তানিকৃত দ্রব্য।


পশ্চিমবঙ্গের শিল্পের অগ্রগতিতে হলদিয়া বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।


কলকাতা পাের্ট ট্রাস্ট দ্বারা হলদিয়া বন্দর পরিচালিত হয়।


হলদিয়া বন্দর এলাকার সামগ্রিক উন্নতির জন্য হলদিয়া পাের্ট ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে।


পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় হলদিয়া বন্দরটি অবস্থিত।


স্বাধীনতার পরবর্তী ভারতের প্রথম বন্দরভিত্তিক শিল্পাঞ্চলটি হল—হলদিয়া শিল্পাঞ্চল।


হলদিয়া বন্দরের উন্নতির ক্ষেত্রে পেট্রো-রসায়ন শিল্পের অবদান সর্বাধিক।


হুগলি নদীর ক্রমহ্রাসমান নাব্যতা হলদিয়া বন্দরের প্রধান সমস্যা।


হলদিয়া বন্দর এলাকায় সামগ্রিক উন্নতির জন্য হলদিয়া পেট্রোপ্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে।


হলদিয়া বন্দরটির আয়তন প্রায় ৪033 বর্গমিটার।


হলদিয়া বন্দরের পােতাশ্রয়টি কৃত্রিম।

Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)

Rate this post